নারায়ণগঞ্জে টেম্পুস্ট্যান্ড নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ২
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় অটোরিকশা (ইজিবাইক/টেম্পু) স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত সাত থেকে আটজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাহী মসজিদ এলাকায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
নিহতরা হলেন – আব্দুল কুদ্দুস (৫৫), যিনি রনি-জাফর গ্রুপের সমর্থক ছিলেন এবং মেহেদী হাসান (৩২), বাবু-মেহেদী গ্রুপের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় এক সময়ের নেতা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই স্ট্যান্ডটি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। শনিবার রাতের সংঘর্ষে প্রথমে কুদ্দুসকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে অপর পক্ষ মেহেদী হাসানকে ধরে ফেলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। দুজনকেই নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে র্যাব-১১ সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়।
বন্দরের ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে—তারা হলো শান্ত, রায়হান ও সোহেল। এ ঘটনায় দুটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিছু লোক অটোরিকশা স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। প্রশাসনের উদাসীনতায় তাদের দমন সম্ভব হয়নি, যার পরিণতি হলো এই প্রাণহানি।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। দোকানপাট বন্ধ, রাস্তায় লোকজনের চলাচল কমে গেছে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।